Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ই-মিউটেশন কার্যক্রম

ভূমিকা:

ভূমি ব্যবস্থাপনায় রেকর্ড হালনাগাদকরণে নামজারি সেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ জনবান্ধব সেবা। ভূমিসেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ অর্জন তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ই-মিউটেশনের ভূমিকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ।এটুআই এর সহায়তায় ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ৭টি উপজেলায় পাইলটিং হিসেবে এর কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৮-১৯ সালে ই-মিউটেশন কার্যক্রমের সম্প্রসারণ কার্যক্রম শুরু হয়।

 

অর্জনসমূহ:

  1. সারা দেশে ১ জুলাই ২০১৯ হতে শতভাগ ই-নামজারি বাস্তবায়ন শুরু হয় (তিনটি পার্বত্য জেলা বাদে)
  2. বর্তমানে ৪৮৫ টি উপজেলা ভূমি অফিস ও সার্কেল অফিসে এবং ৩৬১৭ টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ই-নামজারি বাস্তবায়ন হচ্ছে
  3. ২০১৯-২০ সনের মে মাস পর্যন্ত ১৫,৫৮,৭৭০ টি আবেদন পাওয়া যায় এবং;
  4. ২০১৯-২০ সনে  ১৪,৭২,৫৮৮ টি আবেদন অনলাইনে নিষ্পত্তি হয়েছে।
  5. ২০২০ সালে United Nations Public Service Award (UNPSA) এ মনোনীত;

 

বর্তমানসিস্টেমের সৃজনশীলতা:

  1. www.land.gov.bd-এরমাধ্যমেনাগরিকঘরে বসেই অথবা নিকটস্থ ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে নামজারির আবেদন করতে পারেন;
  2. ভূমি মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে মনিটরিং করা যায়;
  3. ভূমি অফিস কর্তৃক সহজে,দ্রুততম সময়ে ও নির্ভুলভাবে অনলাইনে নামজারি নিষ্পত্তি করা যায় ;
  4. উত্তরাধিকার ক্যালকুলেটরের সঙ্গে সমন্বিত থাকায় নির্ভুলভাবে সম্পত্তির হিসাব বণ্টন করা যায়।

 

টেকসইকরণে গৃহীত উদ্যোগ:

  1. ইউনিয়ন পর্যায়ে ইনফো সরকারের ইন্টারনেটসংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগেরপদক্ষেপগ্রহণ;
  2. ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারে হোস্টেড;
  3. মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা জারি;
  4. ১ জুলাই ২০১৯ হতে শতভাগ ই-মিউটেশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভূমিমন্ত্রণালয় কর্তৃক পত্রজারি;
  5. ভূমি সংস্কারবোর্ড কর্তৃক ই-নামজারি বাস্তবায়ন সম্পর্কিত পরিপত্রজারি।

 

প্রচলিত পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা:

  1. প্রতি বছর দেশে প্রায় ৪০-৪২ লক্ষ ভূমি রেজিস্ট্রেশন হয়এবং উত্তরাধিকারমূলে আরও ২০-২৫ লক্ষ নামজারির ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। কিন্তু মালিকানা হালনাগাদ হয় ১৫-২০ লক্ষ। প্রায় ৪০-৪৫ লক্ষ ভূমির রেকর্ড হালনাগাদ এর  বাইরে থেকে যায়;
  2. নামজারি হওয়ার পর রেকর্ড হালনাগাদ না করারফলে একই জমি একাধিক ব্যক্তির নামেরেজিস্ট্রেশন হওয়া;
  3. সামাজিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতের পাশাপাশি দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার উৎপত্তি;
  4. মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাওয়া এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব সৃষ্টি হওয়া।

 

নাগরিক সেবা য়প্রভাব:

  1. সামাজিক দ্বন্দ-সংঘাত, দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা, ভোগান্তি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য হ্রাস ;
  2. নথি হারিয়ে যাওয়া ও নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা;
  3. নাগরিকের সময়, খরচ ও যাতায়াত হ্রাস ;
  4. প্রস্তাব ও খতিয়ানের স্থায়িত্ববৃদ্ধি;
  5. একই জমি একাধিক ব্যক্তির নামেরেজিস্ট্রেশন রোধ;
  6. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত ;
  7. সরকারি ও ভিপিসম্পত্তিসুরক্ষা;
  8. ডিজিটাল সেন্টারসমূহের আয় বৃদ্ধি;

 

ভবিষ্যত পরিকল্পনা:

 

  1. NID সিস্টেমের সঙ্গে নামজারি আবেদন ইন্টিগ্রেশন করাহচ্ছে;
  2. অনলাইনে নামজারি ফি প্রদানের কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে;
  3. অনলাইন রেকর্ডের সঙ্গে ই-নামজারির আন্তঃ সংযোগস্থাপন;
  4. অনলাইনে ই-নামজারি সিস্টেমে সৃজিত খতিয়ান অনলাইনে প্রাপ্তির সুযোগ তৈরি;
  5. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ই-নামজারি সিস্টেমের আন্তঃ সংযোগস্থাপন;

 

নাগরিকদের ভূমিসেবা নিশ্চিতকরণে  ভূমি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত অন্যান্য ডিজিটাল কার্যক্রম:

  1. অনলাইনে আর,এস খতিয়ান প্রদান;
  2. অনলাইনে সিএস ও এসএ খতিয়ান প্রদান;
  3. অনলাইনে মৌজা ম্যাপ সরবরাহ;
  4. ভার্চুয়াল/ডিজিটাল রেকর্ডরূম;
  5. অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান (পাইলট পর্যায়ে);
  6. মিসকেস (রিভিউ) ব্যবস্থাপনা;
  7. ভূমি অধিগ্রহণ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (পাইলট চলমান);
  8. ভূমিসংক্রান্ত ‘ই-বুক’ চালু;